ই পাসপোর্ট আবেদন || e passport apply

ই পাসপোর্ট আবেদন || e passport apply

ই পাসপোর্ট আবেদন || e passport apply

বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন আপনি প্রায় সকল কাজ ঘরে বসে  আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন অনলাইন শপিং থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ।আপনি যদি বিদেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট ব্যাতিত আপনি বিশ্বের কোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। 

তাই আপনি যদি বিদেশে যেতে চান তাহলে পাসপোর্ট তৈরী করা জরুরি। আমাদের বাংলাদেশে একটি কথা প্রচলিত ছিল এবং এখন ও অনেক জাইগায় প্রচলিত আছে যে দালাল ব্যতীত পাসপোর্ট করা অসম্ভব যার ফলে অনেকেই দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে গিয়ে হয়রানি শিকার হন। বর্তমানে পাসপোর্ট এর জন্য আপনাকে পাসপোর্ট অফিসও যেতে হবে না। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আপনি মোবাইলে মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন এবং আপনি  আপনার বাসায় ডেলিভারি নিতে পারবেন। করবেন।আজকে আমরা শিখব কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি e পাসপোর্ট আবেদন করবেন এবং কিভাবে আপনার আবেদনকৃত e passport online status check করবেন। তো চলুন দেখেনি কিভাবে আপনি আপনার e পাসপোর্ট এর আবেদনের নিয়ম।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪

ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ই পাসপোর্ট ওয়েব পোর্টাল ভিজিট করুন অথবা https://www.epassport.gov.bd/ লিংকে করুন তাহলে আপনি সরাসরি ই পাসপোর্ট ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ করবেন।সেখানে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ঠিকানা এবং থানা সিলেক্ট করুন। আপনার একটি ইমেইল এড্রেস দিন এবং আপনার যাবতীয় তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন। বিষয়গুলো অনেকটা জটিল এবং সময় সাপেক্ষ।তাই কিভাবে ই পাসপোর্ট আবেদন করবেন তার জানার আগে চলুন জেনে নি ই পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন

ই পাসপোর্ট আবেদন করতে যা প্রয়োজন

পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় পাসপোর্ট এর অনলাইন আবেদন কপি  এবং আবেদনকারী ফিঙ্গারপ্রিন্ট সহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দরকার হয়  যেমন

·       আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র

·       আবেদনকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে জাতীয় পরিচয় পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এক্ষেত্রে পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন পড়বে

·       ই পাসপোর্ট আবেদনের অনলাইন প্রিন্ট কপি

·       ই পাসপোর্ট ফি প্রদানের স্লিপের মূল কপি বা প্রিন্ট কপি

·       নাগরিক সনদপত্র বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট

·       যদি পূর্বে কোনো পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সেই পাসপোর্টের ফটোকপি

·       পেশা প্রমানের সনদ পত্র

                                                                                

পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম

পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য জাতীয় পাসপোর্ট ওয়েব পোর্টালে ভিজিট করুন। সেখান থেকে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং থানা সিলেক্ট করুন। আপনার একটি ভ্যালিড ইমেইল এড্রেস দিন।ইমেইল এড্রেসে পাঠানো কনফারমেশন লিংকে ক্লিক করে  ইমেইল টি কনফার্ম করুন। এরপর আপনি পাসপোর্ট আবেদনের একটি ফর্ম দেখতে পাবেন। আপনার সকল যাবতীয় তথ্য দিন এবং পাসপোর্ট আবেদনের ফি প্রদান করুন। বিষয়গুলো আপনাদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে তাই না আপনাদের সুবিধার্থে সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনার সঙ্গে ছবি প্রদান করা হলো। যেন খুব সহজে আপনারা বিষয়গুলো বুঝতে পারেন এবং অনলাইন এর মাধ্যমে আপনি আপনার পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারেন।

epassport.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট

আবেদন করার জন্য আপনি https://www.epassport.gov.bd লিংকে ক্লিক করুন তাহলে আপনি জাতীয় ই পাসপোর্ট অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল প্রবেশ করবেন। সেখান থেকে Apply Online for ePassport / ReIssue বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে থানা সিলেক্ট করার জন্য অন্য একটি পেজে নিয়ে যাবে।

ধাপ-১ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও থানা সিলেক্ট

apply বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে অন্য একটি পেজে নিয়ে যাবে। সেখানে দুটো অপশন থাকবে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট এর আবেদন করেন তাহলে YES সিলেক্ট করুন আর যদি অন্য দেশ থেকে আবেদন করেন NO সিলেক্ট করুন। NO সিলেক্ট করলে আপনি বর্তমানে যে দেশ থেকে আবেদন করছেন সেই দেশ সিলেক্ট করুন এবং Bangladesh Mission সিলেক্ট করুন। আমি ধরে নিচ্ছি আপনি বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট এর আবেদন করছেন তাই আপনি YES সিলেক্ট করেছেন। এরপর আপনি present address এর জায়গায় আপনার বর্তমান জেলা সিলেক্ট করুন। অবশ্যই আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানা দিবেন আপনার স্থায়ী ঠিকানা দিবেন না। আপনি আপনার নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশন  সিলেক্ট করুন  এরপর Continue বাটনে ক্লিক করুন।

e passport apply
e passport apply


ধাপ-২ ইমেইল এড্রেস দিন

আবেদন করার পূর্বে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এজন্য আপনি  আপনার একটি সঠিক ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইল এড্রেস দেওয়ার পর সিকিউরিটি ক্যাপচা I am Human এ ক্লিক করে টিক মার্ক করে দিন। এরপর আপনি সঠিকভাবে ক্যাপচা পূরণ করুন এবং Continue বাটনে ক্লিক করুন।

ই পাসপোর্ট আবেদন
ই পাসপোর্ট আবেদন


ধাপ-৩ অ্যাকাউন্টের তথ্য দিন

Continue বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনি সংখ্যার একটি Password দিন। Password অবশ্যই একটি নাম্বার, একটি বড় হাতের অক্ষর, একটি ছোট হাতের অক্ষর দিবেন। Same পাসওয়ার্ড আপনি Repet Password এর জাইগায় দিন এরপর আপনি Personal Information দিন। সর্বপ্রথম আপনি আপনার Full Name দিন। অবশ্যই আপনার Nid Card যে নাম আছে সেইটা দিবেন। এর পর আপনার Given name দিন। Given Name বলতে বুঝায় First Name এবং Surname বলতে বুঝায় Last Name. Surname দেওয়ার পর আপনি আপনার ফোন নাম্বার দিন। এরপর I am human টিক মার্ক করে Create Account বাটনে ক্লিক করুন।

অ্যাকাউন্টের তথ্য
অ্যাকাউন্টের তথ্য


ধাপ: ইমেল ভেরিফিকেশন


Create Account
বাটনে ক্লিক করার পর আপনার দেওয়া Email Address একটি ভেরিফিকেশন ইমেল পাঠানো হবে। সেই ইমেল পাঠানো লিংকে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার একাউন্ট টি ভেরিফাই হয়ে যাবে। এরপর Sign In বাটনে ক্লিক করে আপনার ইমেল এবং একটু আগে যে পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন তা দিয়ে লগইন করুন।

ইমেল ভেরিফিকেশন
ইমেল ভেরিফিকেশন.

ধাপ-৫ পাসপোর্ট এর ধরন

Sign In করার পর Apply for a new e passport ক্লিক করুন । তাহলে প্রথমেই আপনাকে পাসপোর্টের ধরন সিলেক্টক করতে বলবে। এখানে আপনি দুই ধরণের পাসপোর্ট দেখতে পাবেন । একটি হলো অর্ডিনারি পাসপোর্ট এবং অপরটি হলো অফিসিয়াল পাসপোর্ট । আপনি যদি সাধারণ মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অর্ডিনারি পাসপোর্ট সিলেক্টক করুন আর যদি আপনি সরকারি চাকরিজীবী হন বা সরকারি কর্মকর্তা হন তাহলে অফিসিয়াল পাসপোর্ট সিলেক্টক করুন। অফিসিয়াল পাসপোর্ট কে অনেক সময় সরকারি পাসপোর্ট বলা হয়। পাসপোর্ট সিলেক্টক করে Save and Continue বাটনে ক্লিক করুন।

passport type
passport type


ধাপ-৬ Personal Information দিন

ই পাসপোর্ট আবেদনের এই ধাপে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিন। আপনি যদি নিজের জন্য পাসপোর্ট করেন তাহলে I Apply for myself  লেখাটি টিক মার্ক দিন । এরপর আপনি আপনার লিঙ্গ সিলেক্ট করুন। আপনার ফার্স্ট নেম এবং লাস্ট নেম দিন। এরপর আপনি আপনার পেশা সিলেক্ট করুন।আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন তাহলে others অপশন সিলেক্ট করতে পারেন। এরপর আপনি আপনার religion বা ধর্ম সিলেক্ট করুন। আপনার ফোন নাম্বার দিন। আপনি জন্মসূত্রে যে দেশের নাগরিক সে দেশ নির্বাচন করুন এবং আপনি যে জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন তা সিলেক্ট করুন। জন্ম তারিখ লিখুন এবং সিটিজেনশিপ ইনফর্মেশন এর জায়গায় আপনি কিভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন তা লিখুন। এখানে আপনি BY Birth সিলেক্ট করতে পারেন যদি আপনি জন্মসূত্রে নাগরিক হয়ে থাকেন এবং Save and Continue বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী তথ্য দিন। 

ধাপ-৭ আপনার ঠিকানা দিন

পরবর্তী পেজে নিয়ে যাওয়ার পর আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন আপনি যে ঠিকানা দিবেন সেই ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে তাই কোন প্রকার ঝামেলায় পড়তে না চাইলে আপনি আপনার সঠিক ঠিকানা দিন। Present Address এর জায়গায় আপনি আপনার District, City, Road Number এবং আপনার পোস্ট অফিস Select করুন। পোস্ট অফিস Select করলে অটোমেটিক পোস্টাল কোড অ্যাড হয়ে যাবে । এরপর আপনি পুলিশ স্টেশন আপনার ই পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন হবে। আপনার বর্তমান ঠিকানা ও  স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে Present Address and permanent address are same এ টিক মার্ক দিন। তাহলে আপনার স্থায়ী ঠিকানা অটোমেটিক অ্যাড হয়ে যাবে। যদি আপনার বর্তমান ঠিকানা অস্থায়ী ঠিকানা একই না হয়  তাহলে আপনাকে আলাদা আলাদা ভাবে পূরণ করতে হবে ।

ধাপ-৮ ID Documents দিন

এখানে আপনার যদি কোন পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে YES বাটনে ক্লিক করুন। যেহেতু আমরা নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন করছি সেহেতু আমরা No, I don’t have any previous passport অপশনটি সিলেক্ট করব। আপনার যদি অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট থেকে থাকে  YES, I have Another Passport সিলেক্ট করুন। আমি ধরে নিচ্ছি আপনাদের কোন দেশের পাসপোর্ট ইতিপূর্বে করা নাই তাই NO , I don't have এ ক্লিক করুন । এরপর আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিন। আপনার বয়স যদি ২০ বছরের কম হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার দিন

ই পাসপোর্ট আবেদন || e passport apply
ই পাসপোর্ট আবেদন || e passport apply


ধাপ-৯ পিতা মাতার তথ্য দিন

Father's name এর জায়গায় আপনার পিতার নাম এনআইডি কার্ড অনুযায়ী লিখুন। এরপর আপনি আপনার পিতার পেশা, জাতীয়তা এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার লিখুন। Mother's name এর জায়গায় আপনার মাতার নাম এনআইডি কার্ড অনুযায়ী লিখুন। আপনি আপনার মাতার পেশা, জাতীয়তা এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিন। Guardian Information এর জায়গায় আপনি যদি আপনার অভিভাবকের তথ্য দিতে চান তাহলে Not Applicable টিক মার্কটি উঠিয়ে দিন  এবং আপনি আপনার অভিভাবকের ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী নাম, পেশা ,জাতীয়তা এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর লিখুন আর যদি আপনি অভিভাবকের তথ্য না দিতে চান তাহলে Not Applicable টিক মার্ক দিন

ধাপ-১০ বৈবাহিক অবস্থা

আপনি আপনার বৈবাহিক অবস্থা দিন । আপনি যদি Single হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সিঙ্গেল দিন । নিম্নের চার ধরনের অবস্থা আপনি দেখতে পাবেন এর মধ্যে একটি Choose করুন ।

·       SINGLE

·       MARRIED

·       DIVORCED

·       WIDOWER or WIDOW

আপনি যদি Married সিলেক্ট করেন তাহলে আপনার স্ত্রীর সকল তথ্য দিতে হবে। NID Card অনুযায়ী আপনার স্ত্রীর নাম, পেশা, জাতীয়তা এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিন। Save and Continue বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী তথ্য দিন।

ধাপ-১১ Emergency Contact

Emergency Contact এর জাইগাই আপনি আপনার relative একজন কে সিলেক্ট করুন । আপনি চাইলে আপনার ভাই , Aunt কিংবা আপনার স্ত্রীর কে সিলেক্ট করতে পারেন । আপনি জিনাকে সিলেক্ট করুন । এবং তার যাবতীয় তথ্য দিন । যেমন , District, City, Road Number এবং পোস্ট অফিস Select করুন। পোস্ট অফিস Select করলে অটোমেটিক পোস্টাল কোড অ্যাড হয়ে যাবে । এছাড়াও Email, পুলিশ স্টেশন, Emergency Contact Number দিন ।

ধাপ-১২ Passport options

আপনি কত বছরের জন্য পাসপোর্ট নিবেন এবং কত পেজের পাসপোর্ট নিবেন সিলেক্ট করুন।     আপনি যদি কম দেশ ভ্রমণ করেন তাহলে 48 পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিতে পারেন অথবা আপনি যদি বেশি দেশ ভ্রমণ করেন তাহলে 64 পেজের পাসপোর্ট নিতে পারেন। আপনি চাইলে পাঁচ বছর মেয়াদের কিংবা ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ৫ বছর অপেক্ষা ১০ বছরের পাসপোর্ট নিলে আপনার খরচ বেশি পড়বে। আপনি পাসপোর্টের পৃষ্ঠা  ও মেয়াদ সিলেক্ট করে Save and Continue বাটনে ক্লিক করুন ।

ধাপ-১৩ Passport Delivery

দেখতে দেখতে আমরা অনলাইন ই পাসপোর্ট আবেদনের প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছি . Passport Delivery তে দুইটা অপশন পাবেন

·       রেগুলার ডেলিভারি

·       এক্সপ্রেস ডেলিভারি

আপনি যদি খুব দ্রুত পাসপোর্ট ডেলিভারির নিতে চান তাহলে এক্সপ্রেস ডেলিভারি সিলেক্ট করুন এক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি চার্জ বেশি পড়বে আর আপনি যদি সাধারণ ডেলিভারি নিতে চান তাহলে রেগুলার ডেলিভারি সিলেক্ট করুন। এক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি চার্জ এক্সপ্রেস ডেলিভারির চেয়ে অনেক কম পড়বে। ডেলিভারি ধরন সিলেক্ট করার পর আপনি একটি সুবিধা মত ডেট এবং সময় সিলেক্ট করবেন। দিয়ে Save And Continue বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি আপনার ই পাসপোর্ট এর যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন। যেহেতু পাসপোর্ট অনেক  গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস সেহেতু আপনি সময় নিয়ে আপনার সকল ইনফরমেশন  চেক করে দেখুন। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি বলব আপনি 10 থেকে 15 মিনিট ধরে সব তথ্য চেক করুন। যদি কোন তথ্য ভুল হয় তাহলে পাশে এডিট বাটনে ক্লিক করে আপনি আপনার তথ্য এডিট করতে পারবেন। আপনার সকল ইনফরমেশন চেক করা হয়ে গেলে আপনি Conform and Procced To Payment   বাটনে ক্লিক করুন এরপর পুনরায় Conform and Procced To Payment   বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ-১৪ পেমেন্ট করুন

পেমেন্ট আপনি দুটো অপশন দেখতে পারবেন একটি অনলাইন পেমেন্ট  অপরটি অফলাইন পেমেন্ট। এখান থেকে আপনি অফলাইন পেমেন্ট সিলেক্ট করুন। বর্তমানে অনলাইন পেমেন্ট অপশনটি চালু হয়নি। আপনি ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক সোনালী ব্যাংক ,ট্রাস্ট ব্যাংক ইত্যাদি ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। এরপর কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন।  তাহলে দেখতে পাবেন অ্যাপ্লিকেশন সাকসেসফুল  অর্থাৎ আপনার পাসপোর্ট এর আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

ধাপ-১৫ Application Summary

সম্পূর্ণ হওয়ার পর আপনি Print Summary বাটনে ক্লিক করে আপনার এই পাসপোর্ট এর Print Summary ডাউনলোড করুন এবং Summary টি কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করুন। নিচের দিকে আপনি Download Application For Printing ক্লিক করে আপনার Application প্রিন্ট করুন। অবশ্যই আপনি এই দুটো কাজ করতে ভুলবেন না  কেননা আপনি যখন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে  আপনার পাসপোর্টটি সংগ্রহ করবেন  তখন আপনার ই পাসপোর্ট এর প্রিন্টিং কপি চাইবে। এছাড়াও আপনার আরো কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন পড়বে যেগুলো হলো

·       Summary এর প্রিন্টিং কপি

·       E passport Application এর প্রিন্টিং কপি

·       Nid Card এর ফটোকপি (আবেদনকারী প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি এক্ষেত্রে পিতা-মাতার Nid Card এর ফটোকপি লাগবে)

·       ফি জমা দেওয়ার পেমেন্ট স্লিপ

·       আপনি যদি বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখ করে থাকেন তাহলে কাবীন নামার ফটোকপি

সব ডকুমেন্ট আপনি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনার সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। সেখানে তারা আপনার কয়েকভাবে ছবি তুলবে এবং আপনার আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট  ও চোখের রেটিনার ছাপ নেবে ।এরপর আপনাকে ছোট একটি স্লীপ দেবে যাতে আপনার বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে । কিছুদিন পর আপনি আপনার সেই স্লিপটি দেখিয়ে পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।

কিছু কথা

আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ই পাসপোর্ট এর আবেদন সম্পন্ন হয়েছে।এ প্রকৃিয়া অনেক দীর্ঘ এবং সময়ের সাপেক্ষ তাই আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।কোন অংশে যদি আপনার সমস্যা হয় তাহলে এই পোস্টে নিচে কমেন্ট করুন । এছাড়াও আমাদের ফেসবুক পেজে জানাতে পারেন আমরা আপনাকে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব ।   আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার কাছের মানুষদের কাছে শেয়ার করুন যাতে তারা  ঘরে বসে অনলাইনে ই পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারে। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ

আরও পড়ুনঃ খতিয়ান বের করার নিয়ম

অপরিচিতা গল্পের mcq 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url